কমলগঞ্জে কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে বখাটেদের টানা হেচড়া

  • মুদ্রণ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে দ্বাদশ শ্রেণীর এক সংখ্যালঘু ছাত্রীকে কতিপয় বখাটেরা টানা হেচড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার অভিযোগ দেওয়ায় উল্টো বাসে উঠে অভিযোগকারীদের উপর হামলা চালায় বখাটেরা। বাসটি ধীর গতিতে চলায় হামলায় আক্রান্তদের

পক্ষে পৃথক স্থানে বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। গতকাল ২ আগষ্ট বেলা আড়াইটায় কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনীতে ও ১০ মিনিট পর ভানুগাছ বাজার চৌমুহনীতে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ক্লাস শেষে রোজা ও ঈদের দীর্ঘ ছুটি শুরু হলে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর এক সংখ্যালঘু ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা চৌমুহনার বখাটে বাশার, জেনার, রাসেল (১), জুবায়ের ও রাসেল (২) ছাত্রটিকে আটকিয়ে টানা হেচড়া করে। এ ঘটনার জন্য ছাত্রীর ভাই (রনি) সহ কয়েকজন কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া ও শিক্ষক অধ্যাপক রফিকুর রহমানের কাছে এ ঘটনার বিচার প্রার্থী হন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ছুটি শেষে কলেজ খুললে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে বলে অভিযোগকারীদের আশ্বস্থ করেন। অভিযোগ করে ছাত্রীর ভাইসহ সহযোগীরা বাসে উঠে বাড়ি ফেরার পথে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনায় বাসে উঠে অভিযুক্ত বখাটেরা অভিযোগকারীদের মারধর করে। এ সময় বাসটি দ্রুত গতিতে চালিয়ে যেতে আক্রান্তরা দাবী করলেও বাসটি ধীর গতিতে চলে বলে ১০ মিনিট পর এক কিলোমিটার দূরবর্তী ভানুগাছ চৌমুহনীতে থামলে আক্রান্তদের পক্ষে চারিদিক থেকে বাসে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এ সময় বাসে বসা এক মহিলা যাত্রীও আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। লাঞ্চিত ছাত্রীর বড় ভাই রনি ও সাথী শাহীন বলেন, বাশার, জেনার, রাসেলের নেতৃত্বে কতিপয় বখাটে প্রায়শ দ্বাদশ শ্রেণীর এ ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। বৃহস্পতিবার কলেজ ছুটি শেষে বখাটেরা ছাত্রীকে টানা হেচড়া করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তারা (ছাত্রীর ভাই) এ জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছিলেন। কলেজে বিচার প্রার্থী হওয়ায় বখাটেরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে যোগাযোগ করেও অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক কাম গভর্ণিং বডির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান ছাত্রীকে লাঞ্চিত করার বিষয়ে তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে বলে স্বীকার করেন। তবে পরবর্তীতে কি হয়েছে তা তারা জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে লাঞ্চিত ছাত্রীর বাবার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যড়্গ মোঃ আব্দুস শহীদকে অবহিত করা হচ্ছে। তাঁর সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যব্‌স্থা তিনি গ্রহণ করবেন বলে জানান।

ডেইলি সিলেট:: http://www.dailysylhet.com/index.php/moulvibazar/6124-2012-08-05-09-46-03

Share