কমলগঞ্জে চা বাগানে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে অফিসের সামনে অবস্থান

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ডানকান ব্রাদার্স পরিচালিত আলীনগর চা বাগানে চা শ্রমিকের একটি পক্ষের হামলায় ৬ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হলে ২৪ দিনেও অভিযুক্ত শ্রমিক পরিবারকে বাগান থেকে স্থানান্তর না করায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল ৫ মে শনিবার চা শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করেন।

সরেজমিন আলীনগর চা বাগানে কর্মবিরতি পালনকারী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চা বাগানে শ্রমিকদের জমি সংক্রান্ত বিরোধে আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান জমির সীমানা নির্ধারন করে খুঁটি স্থাপন করেন।

খুঁটি স্থাপনের পর রামহরি বৈদ্য, শংকর বৈদ্য, শৈলেশ বৈদ্যসহ একটি পরিবারের ৫জন সদস্য ঐ খুঁটি উপড়ে ফেলেন। এতে বাঁধা দিতে গেলে রবি রিকিয়াশন (২৫), রাজু রিকিয়াশন (৩০), রাজকুমার রিকিয়াশন (২০), ভগিরত রিকিয়াশন (২৩), চন্দ্রা রিকিয়াশন (৬৫), কেতকি রিকিয়াশন (৫৫)কে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

চা শ্রমিক নেতা সুনীল মৃধা ও দয়া শংকর কৈরী বলেন, এ ঘটনায় হামলাকারীদের আলীনগর চা বাগান থেকে ফাঁড়ি কামারছড়া বাগানে তাদের স্থানান্তর করার জন্য চা বাগানের ১১শ’ শ্রমিকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি দরখাস্ত বাগান ব্যবস্থাপক বরাবরে প্রেরন করা হয়েছে। দরখাস্ত প্রদানের দশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও হামলাকারী শ্রমিক পরিবারকে চা বাগান থেকে স্থানান্তর করা হয়নি। যে কারনে বাধ্য হয়ে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে একযোগে কর্মবিরতি পালন করে।

তারা আরও বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় চা বাগান ব্যবস্থাপক ও আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা আগামী বৃহষ্পতিবার বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদানের পর বেলা ২টায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে শনিবার চা বাগানে কেউ কাজ করেনি। বৃহষ্পতিবারের বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান না হলে পুনরায় লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।

তবে হামলাকারীদের বাসায় গিয়েও কাউকে খুঁজে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। আলীনগর চা বাগান ব্যবস্থাপক রফিকুল হুদা বলেন, তিনি চা বাগানে নতুন এসে যোগদান করেছেন। ঘটনা সম্পর্কে তিনি আগে জানতেন না। এই ঘটনা নিয়ে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন শুরু করলে আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে আগামী বৃহষ্পতিবার ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন। তাই বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত শ্রমিকদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে এবং তারা তা মেনে নিয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সৌজন্যে: www.bangladeshnews24x7.com/বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম/প্রতিনিধি/জাআ/জের/০৫.০৫.২০১২/এসএকে

Share

মন্তব্য


নিরাপত্তা কোড
রিফ্রেশ