২১ ও ২২ ডিসেম্বর মণিপুরী থিয়েটারের বিজয় উত্সব

মহান বিজয়ের মাসে মণিপুরী থিয়েটার আয়োজন করছে বিজয় উত্সব। দু’টি নাটক নিয়ে আয়োজিত উত্সবটির নাম বীরাঙ্গনার মঞ্চযাত্রা। আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর এ উত্সব অনুষ্ঠিত হবে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় নাট্যশালা রেপার্টরির প্রযোজনায় বিদেহ মঞ্চস্থ হবে। শাহমান মৈশানের রচনায় ও লাকী ইনামের নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন লাকী ইনাম, জয়শ্রী কর জয়া ও জ্যোতি সিনহা। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় মণিপুরী থিয়েটার মঞ্চায়ন করবে নাটক কহে বীরাঙ্গনা। মাইকেল মধুসূদন দত্তের বীরাঙ্গনা কাব্য থেকে নাটকটি সম্পাদনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা।

নাটকটিতে এককভাবে অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। ২২ ডিসেম্বর উত্সব হবে কমলগঞ্জের দক্ষিণ ঘোড়ামারায় মণিপুরী থিয়েটারের নিজস্ব স্টুডিও নাটমণ্ডপে। সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
স্বাধীনতার ৪০ বছর ও শিল্পের আলোয় মহান 'মুক্তিযুদ্ধ' শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তৈরি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক 'বিদেহ'। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বীরাঙ্গনা-বীরমাতাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের বর্তমান জীবনধারা নিয়েই গড়ে উঠেছে এ নাটকের প্রেক্ষপট। রেপার্টরি প্রযোজনায় শাহমান মৈশান রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন লাকী ইনাম। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মেঘনা তীরবর্তী এক চরে হালিমা খাতুন ও শান্তিকুমারী বসবাস করেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করায় দুই নারীর মধ্যে অবিচ্ছেদ্য বন্ধন গড়ে ওঠে। ধর্মবোধের পার্থক্য তাদের জীবনবোধকে বিচিত্রগামী করলেও ইতিহাসের এক উত্তাল অধ্যায় দুই জীবনকে এক অভিন্ন চৈতন্যে বেঁধে দিয়েছে। এর ফলে দৃশ্যত এক মনোজাগতিক সঙ্কটের অবতারণা ঘটে। এভাবেই নাটকের গল্প এগিয়ে যায়। নাটকটি প্রসঙ্গে লাকী ইনাম বলেন, 'আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখেছি। দেখেছি কীভাবে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে বাঙালি নারীরা সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর তাদের দোসরদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে লক্ষাধিক বাঙালি নারী। মুক্তিযুদ্ধ প্রকৃতপক্ষে বাঙালি নারীর দেহ বিসর্জন গল্প। এ নাটকের মাধ্যমে সে কথাই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি।' লাকী ইনামের পাশাপাশি নাটকে আরো অভিনয় করেছেন, মোমেনা চৌধুরী ও জ্যোতি সিনহা।

সৌজন্যে: একুশে.কম

Share

মন্তব্য


নিরাপত্তা কোড
রিফ্রেশ