কমলগঞ্জের নবজাতকের লাশ উদ্ধার ও শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

বিশ্বজিৎ রায়
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ১৮ মে শুক্রবার সকালে পতনউষার বাজারের কৃষিজমিতে মৃত নবজাতকের লাশটি পাওয়া যায়।

 

একইদিনে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিকাল সাড়ে ৩টায় পতনউষার বাজার সংলগ্ন আখ ক্ষেতে ৯ বছর বয়সী শিশুকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগ অস্বীকার করে লিচু খাওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে পতনউষার উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখে কৃষিজমিতে এক নবজাতকের মৃত দেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করেন।

এদিকে পতনউষারের দিনমজুর চিনু মিয়া ও তার ৯ বছর বয়সী শিশু শিপা বেগম অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের পাশের বাড়ির আইয়ুব আলী (৫৫) শুক্রবার বিকালে ছাগল তাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে লিচু খাওয়ার লোভ দেখিয়ে শিপাকে আখ ক্ষেতে নিয়ে শরীরে টানা হেচড়া করে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। শিপা চিৎকার শুরু করলে তার মা আফিয়া বেগম ঘটনাস্থলে আসার সময় শিপাকে ছেড়ে আইয়ুব আলী পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে চিনু মিয়া বলেন, বিষয়টি প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। পরে চেয়ারম্যান যৌন নির্যাতন সম্পর্কিত বিষয় শুনে অপরাগতা প্রকাশ করলে নির্যাতিত শিপাকে নিয়ে শুক্রবার রাত ৯টায় কমলগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিপা স্থানীয় মাইজগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী।
তবে অভিযুক্ত আইয়ুব আলী ও তার ছেলে শামীম বলেন, শিশুটি নিয়মিত লিচু খেতে আসে এবং কয়েকদিন তাকে বারন করা হয়েছে। ঘটনার দিনও সে লিচু খেতে আসলে তাকে ধমক দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতনের অভিযোগ রটাচ্ছে।

পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ চৌধুরী বলেন, নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে নিয়ে দাফন করেছেন। তবে কার সন্তান ছিল সে বিষয়ে তিনি কোন খোঁজ পাননি। তাছাড়া অন্য বিষয়টি স্পর্শকাতর অভিযোগ থাকায় তিনি সালিশে বসতে রাজি হননি।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ লিখিত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, নির্যাতিত পক্ষ রাতে থানায় এসে ঘটনা অবহিত করেছে এবং তাদের শনিবার আসার কথা ছিল। তবে তিনি মৌলভীবাজার থাকায় সরেজমিন খোঁজ নিতে পারেননি। তাছাড়া বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

সৌজন্যে: www.bangladeshnews24x7.com/বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম/প্রতিনিধি/জাআ/জের/২১.০৫.২০১২/এসএকে

Share

মন্তব্য


নিরাপত্তা কোড
রিফ্রেশ