কমলগঞ্জ বন্যায় জলাবদ্ধ নিম্নাঞ্চল এলাকায় কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার
এম.এ.হামিদ, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল পতনউষার ও মুন্সিবাজার ইউনিয়ন এলাকার একাংশে বন্যার পানিতে হাওর-বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পতনউষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর ও এর আশপাশ এলাকায় এক শ্রেনীর মাছ শিকারীরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পতনউষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর, মকাবিল ও লাঘাটা নদীর উপর দিয়ে বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগে মাছ শিকারীরা বাজার থেকে কারেন্ট জাল কিনে কিছু দুর দুর বাঁশের খুঁটির সাথে জাল বেধে রেখে সকল প্রকার মাছসহ জলজ প্রাণী শিকার করছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত লোক পানিতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পেতে মাছ শিকারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠছেন। নদীর পানিতে দুই তিন হাত দুর দুর এই জাল পেতে রাখা হয়েছে। কেওলার হাওরসহ গোটা এলাকায় হাজার হাজার কারেন্ট জালের এই চিত্র এখন শোভা পাচ্ছে। ইউনিয়নের তোয়াবুর রহমান, ফটিকুল ইসলামসহ কৃষকরা জানান, কেওলার হাওর এলাকায় পানির উপরে বাঁশের মাথা দেখলেই বুঝা যাবে যে কি পরিমাণে কারেন্ট জালর ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে। তাছাড়া লাঘাটা নদীর উপর বাঁশের খাঁটি (বেড়া) স্থাপন করে মাছ শিকার চলছে। তারা আরও বলেন, এসব কারনে পানিতে মাছের স্বাভাবিক গতি প্রবাহ রোধ করে সকল প্রকার মাছ, ব্যঙ ও সাপ জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। তাছাড়া বাঁশের খাটি বা লাঘাটা নদীতে বেড়া স্থাপন করায় নিম্নাঞ্চল এলাকায় পানি নিষ্কাষনে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা তৈরী হচ্ছে। এতে আউশ, আমন চারা, শাক-সবজি ও গো-খাদ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আসাদ উল্লা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে দু’একদিনের মধ্যেই নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের উপর অভিযান পরিচালনা করা হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেন, শীঘ্রই কারেন্ট জাল বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে এসব বিষয়ে সামাজিক সচেনতার মাধ্যমে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারকারী মৎস্যজীবিদের সচেতন করে তোলতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
Source: http://bdsangbad24.com/?p=4608