কমলগঞ্জে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় প্রতিবাদমুখর এলাকাবাসী
উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নে গোপিনগর গ্রামের তরুণ ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে হত্যার ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। নৃশংস এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তরুণ ব্যবসায়ী মজিদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছেন। প্রেমঘটিত ঘটনায় মজিদের বন্ধুরা মিলে তাকে হত্যা করেন_ এমন ধারণা করছে গ্রামবাসী।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বাদ জুমা প্রতিবাদ সভা করে হত্যাকারীদের আটকের দাবি জানানো হয়। স্থানীয় নয়াবাজারের কালো পতাকা টানিয়ে দুপুর পর্যন্ত সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
গ্রামের লোকজন জানান, মজিদের বন্ধু জুয়েলের কলেজ পড়ূয়া বোন জুঁই বেগমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ব্যবসায়ী মজিদের। অন্যদিকে জুঁইকে ভালোবাসত তারই চাচাতো ভাই মজিদের বন্ধু রুবেল। গ্রামবাসীর ধারণা, জুঁইয়ের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়কে কেন্দ্র করে গভীর রাতে জুয়েল ও রুবেল ভাড়াটিয়া লোক এনে জুয়েলের ঘরের একটি কক্ষে নির্মম নির্যাতন করে নাইলনের রশি বেঁধে ওই ডোবায় ফেলা হয়। যে রশি দিয়ে মজিদকে বেঁধে ডোবায় ফেলা হয়, ওই রশি স্থানীয় দীঘিরপাড় বাজারের জহিরের দোকান থেকে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিনে আনে রুবেল। এ কথা জানান ব্যবসায়ী জহিরসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মঈনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সত্যতা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। কারা তাকে ঘর থেকে রাতে ডেকে নিয়েছে, কোথা থেকে রশি কিনে আনা হয়েছে সবই বেরিয়ে আসছে। সঠিকভাবে তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়, হত্যাকারীরা পরিকল্পিভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে রশি দিয়ে বেঁধে ডোবায় ফেলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, একটি মেয়েকে ভালোবাসার কারণেই সুপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। উলেল্গখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ী মজিদের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সৌজন্যে: http://www.samakal.com.bd/details.php?news=69&action=main&option=single&news_id=288062&pub_no=1156