মণিপুরী থিয়েটারের প্রতিবাদ সমাবেশ
তারুণ্যময় প্রতিবাদ-সমাবেশটিতে বক্তারা তাদের ক্ষোভের ও প্রতিবাদের কথা জানান।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মণিপুরী যুবকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস সিংহ বিজিত, মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় সিংহ, কুমেই পত্রিকার সম্পাদক ও গল্পকার অঞ্জন সিংহ, শিক্ষক ও পৌরি পত্রিকার সহসম্পাদক সন্জু সিংহ, সমাজকর্মী রবিকুমার সিংহ ও সংস্কৃতিকর্মী সুমন দাশ। আরও অংশ নেন সুব্রত, সুনীল, অঞ্জনা, উজ্জ্বল ও সজলকান্তি সিংহ।
সক্রিয় তরুণ সংস্কৃতিকর্মীরা শিক্ষক ও সংগঠক রবীন্দ্র কুমার সিংহের হত্যার অপরাধীদের খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের তড়িৎ অভিযানের এবং দোষী ব্যক্তিদের আশু বিচারের দাবি জানায়। গত ৬ মাসে সংঘটিত ১৬টি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনের আহ্বানও জানানো হয়। এছাড়া রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা সহ সারা দেশে সংঘটিত নৈরাজ্যের তীব্র প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন তরুণরা।
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ও শান্তি-সম্প্রীতির জীবনাদর্শে ঋদ্ধ কমলগঞ্জ দিন দিন ত্রাসের এলাকায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মণিপুরী সহ প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে তরুণদেরকে রাজনৈতিক চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়, সেই রাজনীতি কোনো প্রথাগত কিংবা দলগত রাজনীতি নয়, নিজ নিজ জৈবনিক-সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার রাজনীতি।
বক্তারা বলেন আমরা দিনদিন ভোগসর্বস্ব, চিন্তাহীন, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াহীন, বিনোদন-কৈবল্যের এক অপসংস্কৃতি চর্চায় বুঁদ হয়ে যাচ্ছি, সেখান থেকে নিজেদেরকে বের করে সকল প্রকারের সন্ত্রাস, জুলুম ও আধিপত্যের প্রতিরোধ করার এবং একই সাথে মননশীলতার এক যৌথ সাংস্কৃতিক চিন্তা ও শিল্পচর্চার ধারা বেগবান করে তুলতে হবে।
যুদ্ধ-নিপীড়ন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতা পাঠ করেন মণিপুরী থিয়েটারের নাট্যকর্মী ও অভিনয়শিল্পী জ্যোতি সিনহা, স্মৃতি সিনহা, অপর্ণা সিনহা, মিতু সিনহা ও সত্যজিৎ সিংহ। গান পরিবেশন করেন শর্মিলা সিনহা।
সম্পূর্ণ কার্যক্রমটির সঞ্চালনা করেন মণিপুরী থিয়েটারের দলপ্রধান শুভাশিস সিনহা।
কুয়াশার মধ্যে খোলা মঞ্চের চতুর্দিকে মশাল জ্বালিয়ে পুরো কর্মসূচীটি পালন করা হয়।
সৌজন্যে: মণিপুরী থিয়েটার