কমলগঞ্জে চা বাগানের ব্যবস্থাপক অবরুদ্ধ
লেখক: কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা | বৃহস্পতিবার, ৯ অগাষ্ট, ২০১২, ২৫ শ্রাবণ ১৪১৯
চা শ্রমিক সন্তানদের স্থায়ীভাবে চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে কমলগঞ্জে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর (এনটিসি) মালিকানাধীন মদনমোহনপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক চার ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। দাবি আদায়ে চা শ্রমিকরা চার ঘন্টা কাজ বন্ধ রেখে বাগানের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠকে সমস্যার সাময়িক সমাধান হলে বেলা ১২ টায়
শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। জানা যায়, মদনমোহনপুর চা বাগানে ৫ বেকার চা শ্রমিক সন্তান বিগত ৩ বছর ধরে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। তাদের নিয়োগ স্থায়ী করার দাবিতে বুধবার সকাল ৮ টায় মদনমোহনপুর চা বাগানের সাড়ে ৪শ’ চা শ্রমিক কাজ বন্ধ রেখে ব্যবস্থাপকের অফিস ঘেরাও করে। ঘেরাও কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী মদনমোহনপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত প্রতিনিধি আদিদ চাষা ও বিজয় শুক্ল বৈদ্য জানান, এনটিসির চা বাগানগুলো চা শ্রমিকদের শিক্ষিত বেকার সন্তানদের কর্মচারীর পদে নিয়োগ দানের দাবি দীর্ঘদিনের। চা বাগান কর্তৃপক্ষও চা শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন এ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হবে। মদনমোহনপুর চা বাগানের শিক্ষিক বেকার চা শ্রমিক সন্তান রাজেশ কর্মকার, পরিমল তংলা, আকাশ কৈরী, রামজিত্ রবিদাস ও শিউনাথ রবিদাসকে এ ধরনের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে তাদেরকে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করাচ্ছেন।
কিন্তু চাকরি স্থায়ীকরণে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এই ৫ চা শ্রমিক সন্তানকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দানের দাবিতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে চা শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে অফিস ঘেরাও করে ব্যবস্থাপককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে এনটিসির মনু-ধলাই ভ্যালি (অঞ্চল)-র ডিজিএম মোহাম্মদ শাহজাহান এসে সমঝোতা বৈঠক বসেন। এ বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ৫ জন থেকে ২ জনকে স্থায়ী নিয়োগ ও পরবর্তীতে বাকীদের নিয়োগ দেয়ার আশ্ব্বাস দিলে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়। এ ব্যাপারে মদনমোহনপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক বিদ্যুত্ রায় বলেন, সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে এনটিসির মনু-ধলই ভ্যালির ডিজিএম মোাহাম্মদ শাহজাহান বলেন, চা শ্রমিকদের শিক্ষিত বেকার সন্তানদের নানাভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় প্রথমে তাদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ও পরে স্থায়ী করা হয়। সমঝোতা বৈঠকের পর এ চা বাগানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে বলে তিনি জানান।
সৌজন্যে: দৈনিক ইত্তেফাক