শনিবার, 07 জুলাই 2012 03:45

কমলগঞ্জে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা

Rate this item
(0 votes)

বিশ্বজিৎ রায়
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জের আধকানী উপজেলা বাজারে কামাল নামে এক ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনে আহত ওই ব্যবসায়ীকে কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মুসল্লীদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

হামলার এ ঘটনার প্রতিবাদে ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে শুক্রবার বাদ জুম্মা স্থানীয় মুসল্লীরা সভা আহবান করেছেন। বিলম্বেপ্রাপ্ত খবরে গতকাল সকালে প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়,গত রোববার রাতে কমলগঞ্জের কাওয়ারগলা গ্রামের একটি মেয়ের সাথে অবৈধ মেলামেশার সময় স্থানীয় লোকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার নোয়াবাদী গ্রামের জাকির হোসেনকে আটক করেন। আটক ওই যুবককে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছুরত মিয়ার বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের লোকদের সাথে নিয়ে রাতেই জাকিরকে আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাবিবর আহমদ ভূঁইয়ার নিকট সোপর্দ করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির জানায়,সিলেটে দুটি মেয়ের সাথে তার পরিচয় হলে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এলাকায় আসার পর তাকে ওই দুই মহিলা তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। স্থানীয়রা জাকিরকে আটকের পর দুই মহিলা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর। ওইদিন রাতেই মহিলারা তার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে হামলা চালায় ইউপি সদস্য ছুরত মিয়ার ছেলে কামালের দোকানে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সামনেই ব্যবসায়ী কামালকে মারধোর করে তার সাথে থাকা নগদ টাকা-পয়সাসহ মালামাল লুট করে নেন। মারধোরে আহত কামালকে কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মুসল্লীদের মাঝে চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়। মারধোর ও লুটপাঠের ঘটনায় কামালের পিতা ছুরত মিয়া বুধবার কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

শুক্রবার আলাপকালে এলাকার হাজী রহমত উল্ল্যা, সাইফুর রহমান,জসিম উদ্দিন,জববার মিয়া,উম্মর মিয়া,মোবারক আলী,কবির মিয়া,গ্রাম সর্দার সমছু মিয়া,হাজী নিয়ামত উল্ল্যা,সামছু উদ্দিন,কদ্দুছ মিয়া,ফরেষ্ট হেডম্যান লাল মিয়া জানান,ওই দুই মহিলার চরিত্র খারাপ। তাদের অসামাজিক কর্মকান্ডে এলাকার যুব সমাজ বিপথগামী হচ্ছেন। অনেক যুবক সর্বস্বান্ত হয়ে এলাকা ছাড়া।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাবিবর আহমদ ভূঁইয়া বলেন,আটক জাকিরকে ঘটনার পরদিন বিকালে তার অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ওই দুই মহিলার বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাবে নানা অভিযোগ রয়েছে। আলাপকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুসুদন রায় বলেন,ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি আসামীদের আটকে জোর পুলিশী তৎপরতা চলছে।

সৌজন্যে: বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম

Read 97083 times Last modified on শনিবার, 07 জুলাই 2012 04:15