হঠাৎ করে মায়ের আর্তনাদ শুনে জেগে দেখে তার বাবা তোরাব আলী (৪৫) বটি দা দিয়ে তার মা ইয়ারুন বেগম (৪৫) কে কুপাচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মায়ের আর কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এর পর তার বাবা ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সে পাশের ঘরের চাচীকে ডেকে আনার পর বাড়ির লোকজন দ্রুত গৃহবধূকে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীনিকে না রাখায় রাতেই বাড়ির লোকজন মৃত অবস্থায় গৃহবধূ ইয়ারুন আক্তারকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে পালিয়ে যায়। নিহত গৃহবধূর বড় মেয়ে নাজমিন আক্তার আরও জানায়, তার বাবা মার মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হত। প্রায় ৪ মাস আগে এ ঝগড়া বিবাদের জের ধরে মা তার বাবার বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার কানাইদাশী গ্রামে চলে যান। পরে বাড়ির লোকজনের আবেদনে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ জামাল হোসেন পারিবারিক সালিশ বৈঠক করে গৃহবধূকে আবার ফিরিয়ে আনেন। নিহত গৃহবধূর ভাই রাশিদ আলী অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে বোনের জামাই তোরাব আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত টাকা পয়সার জন্য চাপ দিত। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে ইয়ারুনের লাশ উদ্ধার করে দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্থান্তর করে। রাত ১০টায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশ তোরাব আলীকে তার বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছেন।
Source: নাগরিক বার্তা